//

বাধা দিলেই খুন করত তারা

12 mins read

খুন ও ডাকাতি মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি লাল পতাকা দলের নেতা শুক্কুর আলী ও তার প্রধান সহকারী দিদার মিয়াকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। হবিগঞ্জ, নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জে ভূমি দখল, ত্রাস সৃষ্টি, মারামারি ও লুটপাটসহ নানা অভিযোগ রয়েছে গ্রেফতার শুক্কুর আলীর বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে শুকুর আলীকে তার প্রধান সহকারীসহ গ্রেফতার করে র‍্যাব। এর আগেও গ্রেফতারের পর চার বছর হাজতবাস করে ছাড়া পেয়ে আবার আত্মগোপনে চলে যায় সে।

বুধবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব-৩-এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, অর্ধশতাধিক বাড়িতে ডাকাতি করেছে শুক্কুর আলী ও তার সহযোগীরা। বাধা দিলেই করত খুন। ২০১১ সালে খালিয়াজুরি হত্যাকাণ্ডে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলে পালিয়ে নারায়ণগঞ্জে বসবাস শুরু করে। সেখানেও গড়ে তোলে ডাকাত চক্র। হবিগঞ্জ, নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জের ত্রাস পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি লাল পতাকা ওরফে সর্বহারা চরমপন্থি দলের সদস্য এবং পেশাদার খুনি শুক্কুর আলী ও তার সহযোগী দিদার মিয়া।

শুক্কুর আলী জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে তার দল নেত্রকোনার খালিয়াজুরি থানার একটি বাড়ির দেয়াল ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ মূল্যবান মালামাল লুট করে। ডাকাতির ঘটনায় ভুক্তভোগী মনোরঞ্জন সরকারের ছেলে বাধা দিলে তাকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে শুক্কুর আলী ও তার দল। গ্রেফতার অপর আসামি দিদার ওই হত্যাকাণ্ডে তার চাচা শুক্কুর আলীর প্রধান সহকারী হিসেবে ভূমিকা পালন করে। খুনসহ ডাকাতির ঘটনায় খালিয়াজুরি থানায় মামলা হয়।

শুক্কুর ও দিদার ওই মামলার অন্যতম প্রধান আসামি। বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত ২০১৯ সালে তাদের যাবজ্জীবন সাজা দেন। গ্রেফতার এড়াতে তারা এলাকা ত্যাগ করে এবং নারায়ণগঞ্জে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে এবং মাছের ব্যবসা করে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত শুক্কুর আলীর বিরুদ্ধে তিনটি ডাকাতি ও একটি খুনের মামলা রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

Latest from Blog

x
English version