প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন থেকে পালিয়ে যাওয়া যুক্তরাজ্য ফেরত দুই প্রবাসীকে ভ্রাম্যমাণ আদালত কারাদণ্ড দিয়ে জেলে পাঠিয়েছে। একইসঙ্গে তাদেরকে গুনতে হয়েছে জরিমানাও। মঙ্গলবার রাতে তাদেরকে জেলে পাঠানো হয়।
সাজাপ্রাপ্ত প্রবাসীরা হলেন- সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার চানপুর গ্রামের আবদুল রউফের ছেলে আলম হাসান রউফ (৩৫) ও সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার গোদামপুর গ্রামের মৃত আলতাব আলীর ছেলে মো. আবদুল নূর (৪২)। তারা দু’জনই ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী বাংলাদেশি। সূত্র জানায়, যুক্তরাজ্য থেকে ফেরার পর ওই দুই প্রবাসী প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য সিলেট নগরীর দরগাগেইটস্থ হোটেল স্টার প্যাসিফিকে ওঠেন।কোয়ারেন্টিনে থাকাবস্থায় তারা করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন। কিন্তু রিপোর্ট আসার আগেই তারা হোটেল থেকে পালিয়ে যান।
খবর পেয়ে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মো. মেজবাহ উদ্দিনের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে মঙ্গলবার রাতে তাদের প্রত্যেককে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের রায় অনুযায়ী, ৭ দিনের সাজাভোগের জন্য মঙ্গলবার রাতেই তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়। আগে নগরীর আম্বরখানাস্থ হোটেল ব্রিটেনিয়া থেকে একই পরিবারের ৯ সদস্য কোয়ারেন্টিন থেকে পালিয়ে জকিগঞ্জস্থ তাদের গ্রামের বাড়ি চলে যান। পরে তাদেরকে ফোনে ডেকে এনে ওই পরিবারের প্রাপ্ত বয়স্ক ৬ জনকে ৩ হাজার টাকা করে ১৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়া নগরীর লামাবাজারস্থ হোটেল লা ভিস্তায় কোয়ারেন্টিনে থাকাবস্থায় যুক্তরাজ্য ফেরত এক যুবক বিয়ের অনুষ্ঠান করেন। এ নিয়ে সিলেটজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়।